খুলনা, বাংলাদেশ | ১৭ পৌষ, ১৪৩১ | ১ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  প্রতিবছর বই উৎসবের নামে আর্থিক অপচয়রোধে এখন থেকে অনলাইনে বই উৎসবের সিদ্ধান্ত, ৪১ কোটির মধ্যে ছয় কোটি বই স্কুলগুলোতে পাঠানো হয়েছে, বাকিগুলো ২০ জানুয়ারির মধ্যে দেওয়া হবে : এনসিটিবি চেয়ারম্যান
  জয়পুরহাটে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে জামায়াত নেতা নিহত
  ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই অভ্যুথানের ঘোষণাপত্র দিতে হবে : হাসনাত

তেরখাদায় আমন ধান-চাল সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয়

তেরখাদা প্রতিনিধি

সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বাজারের দাম বেশি হওয়ায় চলতি মৌসুমে তেরখাদায় আমন ধান-চাল সংগ্রহ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। মৌসুমে চাল সংগ্রহের শুরু থেকেই ধান ও চালের বাজার বেশি হওয়ায় মিল মালিকরা গুদামে চাল সরবরাহে গড়িমসি করছেন। এতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংগ্রহ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

কয়েকজন মিল মালিক জানান, টাকা ভর্তুকি দিয়েও তারা চাল কিনতে পারছে না। এ মৌসুমে সরকার ধানের দাম প্রতি কেজি ৩৩ টাকা এবং চালের দাম প্রতি কেজি ৪৭ টাকা নির্ধারণ করেছে। মৌসুমের শুরুতে ধানের যে দাম ছিল, তখন মিল মালিকরা গোডাউনের চাল দিতে পারতেন। কিন্তু বর্তমান বাজারে ধানের যে দাম, তাতে চাল উৎপাদন করে সরকারি ভাবে বেঁধে দেওয়া দামে চাল খাদ্যগুদামে সরবরাহ করলে বিপুল পরিমাণে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।

উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বর্তমানে ধান ১৩ থেকে ১৪ শত টাকা মন দরে বেচাকেনা করতে দেখা গেছে। এই দামে ধান কিনে চাল উৎপাদন করলে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে তিন থেকে চার টাকা বেশি খরচ হবে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার এ উপজেলায় আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ৬৫ মেট্রিক টন এবং চাল সংগ্রহের লক্ষ্য ২৮ মেট্রিক টন নির্ধারণ ছিল। চাল সরবরাহ করার জন্য মাত্র ৮ জন ডিলার চুক্তিবদ্ধ করেছেন। ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোন ধান সংগ্রহ হয়নি।

এ উপজেলায় ৯টি মিলের মধ্যে ৮ জন মিল মালিক সরকারি খাদ্যগুদামে চাল দেওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ২০২৫ সালের ২৮ ফেব্রয়ারি পর্যন্ত চাল সংগ্রহ অভিযান চলবে। উপজেলার ইখড়ি এলাকার কৃষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সরকার নির্ধারিত ধানের দামের চেয়ে বাজারে ধানের দাম বেশি। বর্তমানের ধানের দাম বেশি হওয়ার কারণে খাদ্যগুদামে ধান দেওয়া যায়নি।

ধান ব্যবসায়ী বাবর আলী বলেন, বর্তমান বাজারে ধানের দাম বেশি। কৃষকরা ভালো দামে ধান বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।

মিল মালিক সুশীল সাহা বলেন, আমি ৪ টি মিলের নামে বরাদ্দকৃত ১১ টন চাল সরকারকে দেওয়ার জন্য চুক্তিপত্র করেছি। এখন চাউলের দাম বেশি। তাই কয়েকদিনের মধ্য সব চাল খাদ্যগুদামে সরবরাহ করব।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা পূরবী রানী বালা “খুলনা গেজেট”কে বলেন, ধান ও চালের দর বেড়ে যাওয়ায় চলতি মৌসুমে ধান সংগ্রহ নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত। তবে আমি আশাবাদী,চাল সংগ্রহের জন্য চুক্তিবদ্ধ মিল মালিকররা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহ করবেন।এর পরও মিল মালিকররা যদি চাল না দেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খুলনা গেজেট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!